আমাদের জীবনের লক্ষ্য । জীবনের লক্ষ্য বলতে কি বুঝায়

ব্লগিং করে এডসেন্স থেকে ইনকামের উপায়পৃথিবীতে যত মানুষ রয়েছে সবারই কোনো না কোনো আমাদের জীবনের লক্ষ্য রয়েছে। আর এই জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য অপরিহার্য। কেননা লক্ষ্য বিহীন মানুষ দুনিয়াতে কেউ নেই। তাই আমরা কিভাবে আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করবো, জীবন লক্ষ্য বলতে কি বুঝায় এবং আমার জীবনের লক্ষ্য কি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
তাই আপনারা যদি আপনাদের জীবনের লক্ষ্য অর্থাৎ আমাদের জীবনের লক্ষ্য কি এবং জীবনের লক্ষ্য বলতে কি বুঝায় সেই সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ধারণা পেতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ আমাদের জীবনের লক্ষ্য।জীবনের লক্ষ্য বলতে কি বুঝায়

পোস্ট ভূমিকা 

মহাকালের তুলনায় মানুষের জীবন খুব ছোট। আর মানুষের এই ছোট্ট জীবনকে ভবিষ্যতের জন্য সুন্দর ও স্বার্থক করে গড়ে তোলার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো না কোনো আমাদের জীবনের লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্য বিহীন কোন মানুষ নেই। প্রত্যেকেরই নিজস্ব কোনো না কোনো লক্ষ্য আছে। আর লক্ষ্য বিহীন জীবন মাঝি বিহীন নৌকার মতো। মাঝি বিহীন নৌকা যেমন স্রোতের টানে ভেসে বেড়াই, লক্ষ্য বিহীন জীবনও তেমনি সংসার সমুদ্রে ভেসে বেড়াই।

মানুষের জীবনের লক্ষ্য যদি স্থির না থাকে তাহলে জীবনে সংগ্রামের পথে সাফল্য অর্জন করতে পারবো না। আর যদি লক্ষ্য স্থির করা থাকে তাহলে কঠিন লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠিন সাধনার মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট ধারায় তারা এগিয়ে যেতে পারলে জীবনের সাফল্য সার্থকতা আসবেই। আর জীবনে সাফল্য অর্জনের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই কোন না কোন আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। না হলে আমরা নিজের গন্তব্য স্থলে কোনদিনও পৌঁছাতে পারবো না।

তাই আমাদের লক্ষ্য ঠিক রেখে শ্রম ,নিষ্ঠা ও কঠোর অধ্যাবসায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে পারবো। আর আমার জীবনের লক্ষ্য হলো একজন সফল ফ্রিলান্সার হওয়া। তাই আপনি যদি আপনার জীবনের লক্ষ্য স্থির করা নিয়ে দুশ্চিন্তাই থাকেন থাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
কারনে আজকে আমরা আলোচনা করবো আমাদের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে এবং জীবনের লক্ষ্য বলতে কি বুঝায় সে সমন্ধে। তাই আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে পারি।

আমরা কিভাবে জীবনের লক্ষ্য নির্বাচন করবো।

মানুষ শৈশবের কৈশোরের দিনগুলোতে জীবনে নানারকম স্বপ্ন দেখে। এবং তারা তাদের স্বপ্নে বা কল্পনায় সেগুলোর প্রতিচ্ছবি এঁকে রাখে। এই স্বপ্নগুলো কারো কারো পূরণ হয় আবার কারো কারো বাস্তবে পুরন হয় না। তারপরও সবাইকে স্বপ্ন দেখতে হয় এবং মনে মনে সেটার প্রতিচ্ছবি আঁকতে হয়। মানুষের এই স্বপ্ন দেখার গতিপথে তাদের স্বপ্ন নির্ধারণ করে।

আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য তারা নিজেকে প্রস্তুত করে। তাই সবাইকে সতর্ক ভাবে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা দরকার।  পৃথিবীর সকল মানুষ সমান নয় সেজন্য সকলের জীবনের লক্ষ্য ও এক নয়। 
তাই এক এক জনের পছন্দ অপছন্দ এক এক রকম। প্রত্যেকের জীবনের লক্ষ্য তাদের নিজস্ব রুচিবোধের উপর নির্ভর করে। সেই জন্য কারো সাথে কারো জীবনের লক্ষ্য কখনো মিলেনা, সবারই আলাদা-আলাদা আমাদের জীবনের লক্ষ্য থাকে।

ছাত্র-জীবনের ভবিষ্যতের প্রস্তুতি। কিভাবে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করবো?

মূলত স্কুল জীবনে এই স্বপ্ন নির্ধারিত হওয়া দরকার, তাহলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য নিজেকে সেই ভাবে গড়ে তুলতে পারবো। জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য মাধ্যমিক স্তরের সময়টা হলো উত্তম। এই সময় যে যেটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে। কারণ শেষ সময়ে এসে লক্ষ্য নির্ধারণ করলে সেই লক্ষ্যে পৌঁছানো অনেকটাই কঠিন হয়ে যায়। লক্ষ্য নির্ধারণ থাকলে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে সঠিক লক্ষে পৌঁছানোটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়।

আবার কখনো কখনো দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে, এটা কখনো ঠিক নয়। প্রত্যেকেরই উচিত তাদের নিজস্ব অনুভবনের উপর এবং নিজেদের আগ্রহের, মেধার ও রুচিবোধের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তাদের নিজেদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। তাহলে আমরা আমাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

তাই এই সময় তাদের পারিবারিকভাবে চাপ না দিয়ে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সহযোগিতা করা উচিত। তাহলে তারা তাদের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। এই জন্যই স্কুল জীবনটা হলো আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের সঠিক সময়।

এখন বলবো আমার জীবনের লক্ষ্য কি? আমাদের জীবনের লক্ষ্য কী?

আমি জীবনে কি হতে চাই সেটা অনেক আগে ভেবেছিলাম। তখন মনে করেছিলাম যে আমি আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারবো। কিন্তু বর্তমানে ভেবে দেখলাম সে স্বপ্ন পূরণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। প্রথমে ভেবেছিলাম যে আমি ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবো । কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ করার জন্য যে সকল পথ অবলম্বন করা দরকার সেগুলো আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় এবং জীবনে ভালো কিছু করা যায় সেটা আগে জানতাম না।

আর যখন জানলাম তখন নিজের লক্ষ্য স্থির করলাম যে আমি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবো। আর তখন থেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে সকল পথ অবলম্বন করা দরকার এবং যে সকল কাজগুলো করা প্রয়োজন সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নিয়েছি। আর নিজেকে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য যে সকল পথ অবলম্বন করা দরকার তাই করছি।

কেন ফ্রিলান্সার হতে চাই?

বর্তমান সময়ে চাকরির আশা না করে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা হলো সর্বোত্তম মাধ্যম। বর্তমানে দেশে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত ছেলে ও মেয়ে বেকার হয়ে বাসায় বসে থাকছে। আর বর্তমান সময়ে হাজারে ৫০ জন চাকরি পাই আর বাকি ৯৫০ জনই বেকার থাকতে হয়। লেখাপড়া করে চাকরি না পেলে বাসায় বেকার থাকার ফলে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
আর সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো একজন সফল ফ্রিলান্সার হয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করা। বর্তমান সময়ে বেকারত্ব দূর করনের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো freelancing করা । চাকরির আশায় বসে না থেকে ফ্রীলান্সিং করে নিজে প্রতিষ্ঠিত করে পরিবারের হাল ধরা হলো সর্বোত্তম সহজ মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া এবং পরিবারের হাল ধরে অর্থনৈতিক এবং বেকারত্ব কে হ্রাস করাই হলো উত্তম মাধ্যম।

ফ্রিল্যান্সিং করার উপকারিতা কি কি। একজন সফল ফ্রিলান্সার হিসেবে

বর্তমান সময় ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাচ্ছে । অনেকেই এই ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারছে। এই পেশায় অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে তার মধ্যে একটি মজা ব্যাপার হলো ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনি নিজেই নিজের Boss এবং আপনি কোন কাজ করবেন কি করবেন না সেটা নিজেই নির্ধারণ করবেন। freelancing করার মাধ্যমে বাইরের দেশে লোকজনের সাথে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তাই আপনি যদি নিজে একজন সফল ফ্রিলান্সার হওয়ার কথা ভাবেন তাহলে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তার আগে সমস্ত সুবিধাগুলো যাচাই করে নিতে পারেন। তাহলে আপনি নিজেই সব কিছু বুঝতে পারবেন ।

উপসংহার। 

উপরের আলোচনার আলোকে আমি একটা কথাই বলবো সেটা হলো প্রত্যেককেই আমাদের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য প্রথমত তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য জীবনের লক্ষ্য বলতে কি বুঝায় সে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর আমাদের কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ন করতে হবে। নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে সেই অনুযায়ী কাজ করলে সফলতা খুব নিকটেই থাকবে।

আর যার লক্ষ্য স্থির না থাকে তাহলে সে লক্ষ্য কখনোই সফল হবে না এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। তাই নিজের গন্তব্য স্থলে পৌঁছানোর জন্য সবাইকে আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারন করে কাজ করতে হবে তাহলে দেখা যাবে এক সময় আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি ।
এরপরও যদি আমাদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য কোন সমস্যা হয় বা জীবনের লক্ষ্য বলতে কি বুঝায় সে সম্বন্ধে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে নিঃসন্দেহে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের সকলের মন্তব্যের উত্তর দেয়া হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্টের উত্তর দেয়া হবে।

comment url